সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম

উত্তরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম

হঠাৎ করেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পুরো অঞ্চল।   ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

হঠাৎ করেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পুরো অঞ্চল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

তীব্র শীতের সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী হিমালয় ঘেঁষা জেলা লালমনিরহাটে। এ জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ করেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পুরো অঞ্চল। ভোররাত থেকেই বইছে হিমেল হাওয়া।

এর মধ্যেই সোমবার ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় শীতের উপস্থিতি আরও প্রকট হয়েছে। ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত যেন বৃষ্টির মতোই পড়ছে শীত।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে জেলা সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম- সব জায়গায় কুয়াশার ঘনত্ব ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় পুরো জেলায় তৈরি হয় একেবারে শীতের আগমনী পরিবেশ।

দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় দিনের বেলাতেও সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। এতে ভোরে কাজে বের হওয়া দিনমজুর, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষেরা পড়ছেন অতিরিক্ত বিড়ম্বনায়। ভোর থেকেই বইছে ঠান্ডা হাওয়া, কুয়াশার ঘনত্বও বেড়েছে। বিশেষ করে ভোরবেলা ও রাতের শেষ ভাগে শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষরা।

কালীগঞ্জের কাকিনা এলাকার ভ্যানচালক জহির আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে হালকা কুয়াশা পড়লে আজ হঠাৎ এমন কুয়াশা পড়ছে যে রিকশা চালালেই পুরো গা ভিজে যাচ্ছে রাস্তায় কিছু দেখা যায় না, যাত্রিও নাই। মনে হচ্ছে পুরোদমে শীত পড়া শুরু হলো।

এক পথচারী আদেল ইসলাম বলেন, সকালে প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছি। কুয়াশার জন্য কিছু দেখা যাচ্ছে না। ট্রাক আসছে না কি আসছে বোঝাই যায় না। মনে হচ্ছে, আজ থেকে শীত বাড়বে।

ঢাকায় যাত্রা করছিলেন রোজিনা বাসের ড্রাইভার, মহাসড়কে কুয়াশার কারণে গাড়ি ছাড়া আমাদের জন্য অনেক কষ্ট হয়েছে। কুয়াশার কারণে ঠিকভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই গন্তব্যে পৌঁছতে অনেক সময় লাগছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানায়, সোমবার সকালে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিদিনই শীতের সঙ্গে কুয়াশা বাড়ছে। এখন আরও ঠান্ডা বৃদ্ধি পাবে।

আদিতমারী উপজেলা হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আজমল হক জানান, হাসপাতালে সপ্তাহের ছয় দিনই রোগী দেখা হয়। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে প্রতিদিন শতাধিক রোগী দেখতে হচ্ছে। শীত বাড়ায় শিশুরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে। হাসপাতালে আসা অধিকাংশ শিশু নিউমোনিয়ায় ভুগছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে গ্যাস দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!