মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম

চাঞ্চল্যকর সেই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, সবাই গ্রেপ্তার

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম

চাঞ্চল্যকর সেই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, সবাই গ্রেপ্তার

প্রতীকি ছবি

মাগুরায় চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে মাগুরা সদর থানায় মামলাটি করেন শিশুটির মা। মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন- শিশুটির বোন জামাই সজিব (১৮), বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৪২), বোন জামাইয়ের বড় ভাই রাতুল (২০) এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা (৪৫)। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর ধর্ষণে সহযোগিতা ও পরবর্তী সময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে শিশুটির বোন জামাই সজিব, সজিবের বড় ভাই রাতুল এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদার বিরুদ্ধে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১ মার্চ ৮ বছরের শিশুটি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে বড় বোনের বাড়ি শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বেড়াতে যায়। ৫ মার্চ রাতে বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে সে। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে বোন জামাই সজিব ঘরের দরজা খুলে দিলে শ্বশুর হিটু শেখ ঘরে ঢোকেন। ঘুমন্ত শিশুটির মুখ চেপে ধরে পাশের কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন টিটু।

রাত আড়াইটার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে শিশুটিকে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তার বোন। তখন না বুঝলেও সকালে ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পারেন বোন। এ অবস্থায় বিষয়টি কাউকে না জানাতে হিটু শেখের ঘরে শিশুটি ও তার বোনকে আটকে রাখা হয়। পরে জোহরা নামে এক প্রতিবেশি বিষয়টি জানতে পেরে শিশুটিকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তবে ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক শিরিন সুলতানা দুপুরেই তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মাগুরা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, শিশুটির চিকিৎসার কারণে পরিবারের সবাই ঢাকায় অবস্থান করায় মামলাটি হতে সময় লেগেছে। তারপরও মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শিশুটির মা বলেন, মেয়ের এখনও জ্ঞান ফেরে নাই। ঘটনার সময় ওই বাড়িতে মেয়ে একাই ছিল। এ কারণে কে তাকে ধর্ষণ করেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারছেন না তারা। তবে এ ঘটনায় তিনি চারজনের নামে মামলা করেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

মামলা দায়েরের পর শিশুটির চাচা ইব্রাহিম শেখ বলেন, আমাদের ছোট মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।

 

আরবি/এসএমএ

Link copied!