শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম

বেদে সম্প্রদায়ের ভেলা ভাসানি উৎসবের বর্ণিল আয়োজন

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম

বেদে সম্প্রদায়ের শতবর্ষী ঐতিহ্য ভেলা ভাসানি উৎসব । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বেদে সম্প্রদায়ের শতবর্ষী ঐতিহ্য ভেলা ভাসানি উৎসব । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শতবর্ষের ঐতিহ্যকে ধারণ করে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা শান্দার পাড়ায় জমে উঠল ‘ভেলা ভাসানি উৎসব’। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসা গ্রামীণ সংস্কৃতির অপরিহার্য এই অংশটি এবারও বেদে সম্প্রদায়ের আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। ভাদ্র মাসের শেষ বৃহস্পতিবার রাতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে বসে গ্রামীণ মেলা, আর হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, নদী ও পানিকে ঘিরেই যাযাবর বেদে সম্প্রদায়ের জীবনযাপন গড়ে উঠেছে। ভেসে বেড়ানো এই জনগোষ্ঠীর কাছে পানি কেবল জীবিকা নয়, বরং শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। সেই শ্রদ্ধা থেকেই শত বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা পালন করে আসছে ভেলা ভাসানি উৎসব। কারও কাছে এটি মানত পূরণের আয়োজন, আবার কারও কাছে এটি শুধুই ঐতিহ্যের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার এক অনন্য সুযোগ।

উৎসবকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় উৎসবের আমেজ। ঝিটকা শান্দার পাড়ার আশপাশে বসে হাট ও মেলা। সেখানে বিভিন্ন খাবার, খেলনা, দেশীয় মিষ্টি, মাটির তৈজসপত্র আর লোকজ দ্রব্য নিয়ে বসেন গ্রামীণ ব্যবসায়ীরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়।

বেদে সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা গান ও বাদ্যযন্ত্রের তালে পরিবেশন করেন লোকসংগীত ও আধ্যাত্মিক গান। তাদের পরিবেশনায় ভেসে আসে নদীমাতৃক বাংলার ঐতিহ্যের সুর। এরপর আসে মূল অনুষ্ঠান ভেলা ভাসানো। কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি ভেলায় সাজানো হয় মোমবাতি, ফুল, ফল-ফলাদি এবং মানতের বিভিন্ন সামগ্রী। প্রার্থনার সুরে, আলোকিত মোমবাতির আলোয় যখন ভেলাগুলো পানিতে ভেসে যায়, তখন উপস্থিত দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হয়ে দেখেন এই শতবর্ষী রীতির সৌন্দর্য।

স্থানীয়রা জানান, অনেক আগে থেকেই এই অঞ্চলের বেদেরা নদীকে কেন্দ্র করেই জীবনযাপন করে আসছে। তাদের কাছে পানির প্রতি রয়েছে এক গভীর আস্থা ও শ্রদ্ধা। সেই বিশ্বাস থেকেই এই ভেলা ভাসানি উৎসবের জন্ম। আজও সেই ধারাবাহিকতায় বেদে সম্প্রদায় এই আয়োজনকে টিকিয়ে রেখেছে।

দর্শনার্থীরা বলেন, শতবর্ষের এই ঐতিহ্য দেখতে এসে সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। এখন অন্য কোথায় তেমন মেলা হয়না তার জন্য এই মেলা অনেক জমজমাট হয়।

আয়োজক আবু তালেব বলেন, আমরা অনেক আগেই থেকেই এই উৎসবের আয়োজন করে থাকি। প্রতিবছরের মতো এবারও আয়োজনকে আমরা আরও বর্ণিল করার চেষ্টা করেছি। প্রতিবছরের মতো এবারও আশপাশের এলাকা থেকে হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছেন। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!