দীর্ঘ ৩ দশক পর অনুষ্ঠিত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু প্রতীক্ষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। ভোট গণনা দীর্ঘ ৪৫ ঘণ্টা পর অবশেষে শেষ হয়েছে। ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।
ভিপি পদে আব্দুর রশিদ জিতু ৩৩৩৪ ভোট, জিএস পদে মাজহারুল ইসলাম ৩৯৩০, এজিএস (পুরুষ) পদে ফেরদৌস আল হাসান ২৩৫৮ ও এজিএস (নারী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা ৩৪০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া, অন্য পদগুলো শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক- আবু ওবায়দা ওসামা ২৪২৮, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক- মো. শাফায়েত মীর ২৮১১, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মো. জাহিদুল ইসলাম ১৯০৭, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মহিবুল্লাহ শেখ জিসান ২০১৮, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মো. রায়হান উদ্দীন ১৯৮৬, নাট্য সম্পাদক- মো রুহুল ইসলাম ১৯২৯, ক্রীড়া সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান কিরন ৫৭৭৮, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী)- মোছা. ফারহানা আক্তার লুবনা ১৯৭৬, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ)- মো. মাহাদী হাসান ২১০৫, তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক- মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন ২৪৩৬, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক- আহসাব লাবিব ১৬৯০, সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ)- মো. তৌহিদ হাসান ২৪৪২, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক- হুসনী মোবারক ২৬৫৩, পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক- মো. তানভীর রহমান ২৫৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, কার্যকরী সদস্য পদে (পুরুষ) মোহাম্মদ আলী চিশতী, মো. আবু তালহা ১৮৫৪, মো. তরিকুল ইসলাম ১৭৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে, কার্যকরী সদস্য পদে (নারী) নুসরাত জাহান ইমা ৩০১৪, নাবিলা বিনতে হারুন, ফাবলিহা জাহান ২৪৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ১১ হাজার ৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন এবং যুগ্ম সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬। নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল।
তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। বর্জনকারীদের মধ্যে রয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এবং স্বতন্ত্রদের ‘অঙ্গীকার পরিষদ’।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন