মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চালকের হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এক কলেজছাত্রী (১৮)। এ সময় নিজের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলার চানপুর এলাকার এম মুহিত ব্রিকস ফিল্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত চালক প্রজেশ দাশকে (৪৬) আটক করেছে।
প্রজেশ কুলাউড়া উপজেলার মৃত দিরেন্দ্র দাশের ছেলে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মামা বড়লেখা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কলেজছাত্রীর বাড়ি বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। তিনি চানপুর গ্রামে মামার বাড়িতে থাকেন এবং এম মুস্তাজিম আলী কলেজে লেখাপড়া করেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে ইয়ারচেঞ্জ পরীক্ষায় অংশ নিতে তিনি মামার বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন।
এ সময় তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক প্রজেশ দাশকে দেখে সিগন্যাল দেন। গাড়ির পেছনের সিটে ধানের বস্তা থাকায় চালক ছাত্রীকে মা সম্বোধন করে তার পাশের আসনে বসতে বলেন। সরল বিশ্বাসে ছাত্রীটি সামনের আসনে বসে।
এ সময় অটোরিকশা চলতে শুরু করলে চালক গিয়ারের অজুহাতে কয়েকবার ইচ্ছাকৃতভাবে তার বাম হাতের কনুই দিয়ে ছাত্রীটির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করেন। একপর্যায়ে যৌন নিপীড়ন শুরু করলে ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করে। পরে নিজের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য তিনি চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে মাথায় আঘাত পান।
এ সময় পথচারী ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং চালককে আটক করেন। অভিযুক্ত চালককে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ গিয়ে আটক করে এবং গাড়িটি জব্দ করে।
বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লা মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ‘চলন্ত অটোরিকশায় চালকের হাতে এক কলেজছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ায় তার মামা থানায় মামলা করেছেন।’
‘অভিযুক্ত অটোরিকশা চালককে আটক করা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে’, জানান ওসি।
আপনার মতামত লিখুন :