মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে নতুন মুখের পরিবর্তে পুরনো নেতাদের হাতেই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে আবারও।
শনিবার (১৬ আগস্ট) পৌরশহরের পানিধার এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে (নির্বাচন) সিনিয়র সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আসেনি।
নেতাকর্মীরা আস্থা রেখেছেন পূর্ববর্তী নেতৃত্বের ওপরই। এর আগে সভাপতি পদে আব্দুল হাফিজ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জুয়েল আহমদ একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জিকে গউছ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সহসভাপতি নাসির উদ্দিন মিঠু, সাবেক উপদেষ্টা শরীফুল হক সাজু, প্রধান নির্বাচন কমিশনার জয়নাল আবেদীন, নির্বাচন কমিশনার অধ্যক্ষ আসুক উদ্দিনসহ উপজেলা ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সিনিয়র সহসভাপতি পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নছিব আলী ৪৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম শরীফুল ইসলাম বাবলু পেয়েছেন ২৫৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু ৩৫০ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল কাদির পলাশ পান ৩৩৫ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান ৫৩৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জালাল আহমদ তালাল পান ১৪৪ ভোট।
এ নির্বাচনে ৭১০ ভোটারের মধ্যে ৭০০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, যা প্রমাণ করে দলীয় কর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটে অংশ নেন।
সার্বিকভাবে কাউন্সিল থেকে স্পষ্ট হয়েছে, বড়লেখা উপজেলা বিএনপি আবারও পুরনো নেতৃত্বের ওপর আস্থা রেখে আগামী দিনের পথচলা শুরু করতে যাচ্ছে।