মেহেরপুরের মুজিবনগরের জয়পুর গ্রামের স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছেন রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিয়া তাসনিমের (১৩)।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জানাজা শেষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
মাহিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার কুড়ালগাছী গ্রামের মৃত ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে এবং রাজধানীর উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে বসবাসরত বিউটি আক্তারের একমাত্র কন্যা। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতেন তিনি।
এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে সেখানে আগুন ধরে যায়। এতে গুরুতর দগ্ধ হয় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে তাসনিমের শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে যায়।
পরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে কুড়ালগাছী ও জয়পুর গ্রামে। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে চারপাশের পরিবেশ।
মরদেহ প্রথমে নেওয়া হয় চুয়াডাঙ্গার কুড়ালগাছী গ্রামে তাদের পিতৃভিটায়। পরে শুক্রবার সকালে নেওয়া হয় মেহেরপুরের মুজিবনগরের জয়পুর গ্রামের নানার বাড়িতে। সেখানেই স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
মাহিয়া তাসনিমের নানা নজরুল ইসলাম জানান, ‘ওর শরীরের প্রায় অর্ধেক পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ফিরে এল না সে।’