মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতির জন্য থামা একটি লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় নেহাল আহমেদ ওরফে জিহাদ নামে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে তাকে আটক করে সদর থানার পুলিশ। আটক নেহাল আহমেদ মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ বলছে, ‘এমভি ক্যাপ্টেন’ নামের লঞ্চে মারধরের শিকার ওই দুই তরুণীর বয়স ১৯-২০ বছর হবে।
শনিবার বেলা দুইটার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শুক্রবার মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা জিহাদকে (নেহাল আহমেদ) থানায় আসতে বলি। সে থানায় আসে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুই তরুণীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে বেল্ট দিয়ে পেটাচ্ছেন এক তরুণ। এ সময় স্থানীয় লোকজন সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে উল্লাস করছিলেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।
তরুণীদের পেটানো নেহাল আহমেদের সঙ্গে সদর থানায় কথা বলেন এই প্রতিবেদক।
তিনি দাবি করেন, ‘স্থানীয় কয়েক শ মানুষ তরুণীদের আচরণ ও বেশভূষায় ক্ষিপ্ত হয়। তরুণীদের ওপর আক্রমণ করতে আসে। সে সময় ভুক্তভোগী কয়েকজন তরুণী আমাকে অনুরোধ করে, আমি যেন তাদের এমন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করি। আমি তাদের বাইরের পরিস্থিতি বুঝানোর চেষ্টা করি। তাদের নিরাপদে উদ্ধার করতে গেলে, মব সৃষ্টি করে আমার ওপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা আমাকে বড় ভাই হিসেবে কিছু করতে বলেন।’
তিনি বলেন, ‘বড় ভাই হিসেবে আমি সেখানে শাসন করি। এর বেশি কিছু নয়। তারপরও আমি যেটি করেছি এটি ভুল করেছি, আমি এর জন্য অনুতপ্ত।’
সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী এক তরুণীকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে তিনি আসবেন না বলে জানিয়েছেন। তার মুঠোফোনটি বন্ধ দেখাচ্ছে। নৌ পুলিশ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কেউ কোনো ব্যবস্থা না নিলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।’
আপনার মতামত লিখুন :