মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বড় আকারের ইলিশ কেজিতে ৩ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এমন দামের জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্রেতারা।
বুধবার (১১ জুন) আড়তে প্রতিকেজি নদীর পাঙাশ ৬০০-৯০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, চাষের রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, চাষের কাতল ৪৫০-৫০০ টাকা ও নদীর কাতল ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি গলদা চিংড়ি ১২০০-১৫০০ টাকা, নদীর আইড় ৮০০-১৪০০ টাকা ও বোয়াল বিক্রি হচ্ছে ৫০০-১০০০ টাকায়।
মিরকাদিম মাছের আড়তে ইলিশের দাম উঠেছে কেজিতে তিন হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত। যা সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে অন্তত ৬০০ টাকা। এ জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্রেতারা।
তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের বাজার অস্থির করে তুলছে।
তবে খুচরা বিক্রেতা ও আড়তদাররা অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, ঈদের কারণে মাছ কম বাজারে। তবে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। এতে দামও কিছুটা বেড়েছে।
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম মৎস্য আড়ত সমিতির আড়তদার হাজী রুহুল আমিন বলেন, ঈদের ছুটি এখনো চলছে। ঢাকার অনেক মানুষই মুন্সিগঞ্জে অবস্থান করেছেন। এতে মাছের চাহিদা বেড়েছে। তবে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী তীরের মিরকাদিম হাট। হাঁকডাকে সরগরম মাছের আড়ত। যেখানে উপকূলীয় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাছ আসে। ইলিশ ছাড়াও রুই, কাতল, পাঙাশ, আইড়, বোয়ালসহ স্থানীয় খাল-বিলের হরেক রকমের তাজা মাছ পাওয়া যায়। এই হাটের ৪৩টি আড়তে দুই থেকে তিন ঘণ্টায় প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :