ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

ছাত্রলীগের কর্মী এখন দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
আলভি মাহমুদ ও অপূর্ব রহমান অপু। ছবি- সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জে টাকার বিনিময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ও স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি আলভি মাহমুদ বাগিয়ে নিয়েছেন রামপাল ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতির পদ। এ ছাড়াও স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি অপূর্ব রহমান অপুকে মীরকাদিম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার সভাপতি বানানো হয়েছে।

অপূর্ব এলাকায় ‘গলাকাটা অপূর্ব’ হিসেবে পরিচিত। নিজের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে তার নামে মামলা রয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মীরকাদিম পৌরসভার কিল্লাপাড়ায় তার স্ত্রী সহিফাকে হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তার বিচারের দাবিতে ২০২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মীরকাদিমবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল।

এ ছাড়া শুধু হত্যা নয়, নেশা, নারীসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে অপূর্বের বিরুদ্ধে। গত ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি আবুল হাসেম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান জামাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ১৩টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ থেকে এরা কীভাবে ছাত্রদলের শীর্ষ পদ পেল, তা নিয়ে অর্থের বিনিময়সহ নানা প্রশ্ন রয়েছে। কিছুদিন আগে যে ছাত্রলীগের সদস্যরা মিছিল-মিটিংয়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়েছে তাদেরই দেওয়া হয়েছে ছাত্রদলের সভাপতি পদ। কমিটির খবর ছড়িয়ে পড়ায় সংগঠনের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে উঠেছেন। ছাত্রদলের স্থানীয় সদস্যরা আগস্টের আগে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ভিডিও পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানান, সংগঠনে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী থাকতে একজন ছাত্রলীগ নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগকে টাকার বিনিময়ে ছাত্রদলে নেওয়া হয়েছে। এরা বিএনপিতে এসেছে বড় ধরনের মিশন নিয়ে।

এ বিষয়ে আলভি মাহমুদ ও অপূর্ব রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবুল হাসেম এ প্রসঙ্গে জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের পরামর্শে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে কোনো টাকার লেনদেন হয়নি। আমরা এ অভিযোগের সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।