সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম

অসুস্থ নাতনিকে দেখতে গিয়ে লাশ হলেন নানা-নানি

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম

অসুস্থ নাতনিকে দেখতে এসে লাশ হলেন নানা-নানি। ছবি_ রূপালী বাংলাদেশ

অসুস্থ নাতনিকে দেখতে এসে লাশ হলেন নানা-নানি। ছবি_ রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের আনারপুরা ইউ-টার্নে যাত্রীবাহী বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে এক নারীসহ দুজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় এক শিশুসহ আহত হয়েছে আরও তিনজন।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের আনারপুরা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ইউ-টার্নে এঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন আলনা বেগম (৫০) ও বিল্লাল হোসেন (৬৫)। আহতরা হলেন দুর্ঘটনায় নিহত বিল্লাল হোসেনের ছেলের বউ অঞ্জনা (২৩), নাতনি আনিশা (৪) ও অটোরিকশাচালক অজ্ঞাত (৪০)।

জানা যায়, নিহত বিল্লাল হোসেন এবং আলনা বেগম গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা গ্রামের মামুনের শ্বশুর শ্বাশুড়ি, তাদের বাড়িতেই তার মেয়ের অসুস্থতার খবরে দেখতে আসছিল। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার একই পরিবারের দুজন নিহত, শিশুসহ আহত হন আরও তিনজন।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন অটোরিকশায় গজারিয়া উপজেলার আনারপুরা গ্রামে পরিবারসহ অসুস্থ নাতনিকে দেখতে যাচ্ছিলেন। যাবার পথে আনারপুরা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় মতলব থেকে ঢাকাগামী মতলব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দিলে তা দুমড়েমুচড়ে যায়। এসময় অটোরিকশা চালক, বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী আলনা বেগমসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এদিকে ঢাকা নেওয়ার পথে সকাল ১১টার দিকে আলনা বেগম, পরে তার স্বামী বিল্লাহ হোসেন মারা যায়। স্থানীয়রা ঘাতক বাসচালক কাউসার হোসেন (২৫) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে শিশু আনিশা ছাড়া বাকি তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিহত আলনা বেগমের মামা নজরুল ইসলাম তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা স্বামী-স্ত্রী মারা গেছে। বাকিদের অবস্থাও ভালো না। অসুস্থ নাতনিকে দেখতে গিয়ে নিজেই লাশ হয়ে ফিরল।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!