সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রাণ দিতে হলো নারী গ্রাম পুলিশকে

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম

নারী গ্রাম পুলিশ হত্যার আসামি। ছবি- সংগৃহীত

নারী গ্রাম পুলিশ হত্যার আসামি। ছবি- সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ আন্না রানী হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাপস কুমার দাস (৩০)-কে পুলিশ রোববার গ্রেপ্তার করেছে। তাপস উল্লাপাড়া উপজেলার ভরমোহনী দাসপাড়া গ্রামের সূর্য কুমার দাসের ছেলে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) তাপস দাস সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আন্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

গত ১১ অক্টোবর (শনিবার) ভোরে আন্না রানীর মরদেহ সলঙ্গা থানা পুলিশ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্না রানীর মেয়ে ধ্রুপদী দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে শনিবার সলঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত আন্না রানী ভরমোহনী দাসপাড়া গ্রামের মৃতু বিজেন চন্দ্র দাসের স্ত্রী।

আন্না হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ময়নুল ইসলাম জানান, কথিত নারী গ্রাম পুলিশ আন্না রানী শনিবার ভোরে হাঁটার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। তিনি পার্শ্ববর্তী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর পাড়ে গেলে একই গ্রামের তাপস কুমার দাস তাকে কুপ্রস্তাব দেন। আন্না রাজি না হলে এক পর্যায়ে তিনি আন্নাকে জড়িয়ে ধরেন। পরে আন্না চিৎকার করলে তাপস তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যান। পুলিশ বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামি তাপসকে শনাক্ত করে। এরপর রোববার রাতে তাপস দাসকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, তাপস দাস সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইভীন আক্তারের কাছে আন্না রানীকে হত্যা করার পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন। তাপস দাসকে সিরাজগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পরোক্ষভাবে আরও কেউ জড়িত আছে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!