মায়ের কথা রাখতে বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালী দশমিনায় গ্রামের বাড়ি ফিরলেন মো. আউয়াল মৃধা।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিমানবন্দর থেকে দুপুর ২টার সময় হেলিকপ্টার যোগে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড রামভল্লব গ্রামের বাড়ি পৌঁছান তিনি।
আউয়াল মৃধা ওই গ্রামের মৃত আবদুল আজিজ মৃধার ছোট ছেলে।
জানা যায়, রামভল্লব গ্রামের মো. আউয়াল হোসেন মৃধা দীর্ঘ ২২ বছর মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন যাপন করেন। প্রবাস জীবন শুরুর থেকে প্রতি বছর তার মরহুম পিতা আবদুল আজিজ মৃধার মৃত্যুবার্ষিকীতে গ্রামের বাড়ি আসেন। এ বছর তার মরহুম বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে আগামী সোমবার বিকেলে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ওই মাহফিলে দেশবরেণ্য বক্তা আমির হামজা ওয়াজ নছিওয়াত করবেন। তার গর্ভধারিনী মা কুলসুম বিবির কথা রাখতে এ বছর হেলিকপ্টার যোগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ২ টার দিকে গ্রামের বাড়ি আসেন।
প্রবাসী আউয়াল মৃধার বড় ভাই আবদুল ওহাব মৃধা জানান, আমার মা কয়েক মাস আগেই আমার ছোট ভাইকে বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আসার জন্য বলেছেন। তখন বলেন, এ বছর হেলিকপ্টার যোগে আসার জন্য। মায়ের কথা রাখার জন্য আমার ছোট ভাই আজ হেলিকপ্টার নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসেন।
মো. আউয়াল মৃধা জানান, আগামী সোমবার আমার মরহুম পিতার মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুবার্ষিকীতে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত দোয়া ও ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসাবে ওয়াজ করবেন দেশবরেণ্য ইসলামী বক্তা আমির হামজা।
তিনি আরও বলেন, আজ (বুধবার) সকালে মালয়েশিয়া থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাই। সেখান থেকে মায়ের কথা রাখতে একটি বেসরকারি হেলিকপ্টারে দুপুর দুইটায় গ্রামের বাড়ি আসি।
আপনি আগামী দিনে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে থেকে নির্বাচন করার পরিকল্পনা আছে কি না, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আউয়াল মৃধা বলেন, ‘না, আমার রাজনৈতিক কোনো দলে যাওয়ার মনমানসিকতা নেই। আমি এলাকার অসহায়, দুস্থ পরিবারের সেবা করতে চাই। আমি মারা গেলে লোকজন দেখতে আসে এমন কাজ করতে চাই।’
মো. আউয়াল মৃধার আগমনে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বেতাগী সানকিপুর মানবসেবা সংগঠনের সদস্য, বিভিন্ন এতিম ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালকগণ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন