ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫

আরও ৪০ বছর বাঁচতে চান দালাই লামা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০১:১৯ এএম
১৪তম দালাই লামা। ছবি- সংগৃহীত

তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা তার ৯০তম জন্মদিনের আগে জানিয়েছেন, তিনি আরও ৪০ বছর, অর্থাৎ ১৩০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচতে চান। শনিবার (৫ জুলাই) তার ভক্তদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেখানে তার দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রার্থনা করা হয়।

সম্প্রতি তিনি তার মৃত্যুর পর উত্তরসূরি নিয়ে একটি ঘোষণাও দিয়েছেন।

মন্ত্র পাঠ, ঢাকের শব্দ আর শিঙার আওয়াজের মধ্যে প্রার্থনার নেতৃত্ব দিতে গিয়ে দালাই লামা বলেন, ‘অবলোকিতেশ্বরের আশীর্বাদে আমি এতদিন সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আরও ৩০ থেকে ৪০ বছর বেঁচে থাকব এবং সকল প্রাণী ও বৌদ্ধ ধর্মের সেবা করে যাব।’

দালাই লামা এর আগে ডিসেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছিলেন, তিনি ১১০ বছর বাঁচতে পারেন। দালাই লামা নিশ্চিত করেছেন যে তার উত্তরসূরী পূর্ববর্তী ঐতিহ্য অনুসারে নির্বাচিত হবেন। এর ফলে, শতাব্দী প্রাচীন এই পদটি নিয়ে বহু বছরের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটেছে।

গত বুধবার একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠিত গাদেন ফোড্রাং ফাউন্ডেশন ভবিষ্যৎ তার পুনর্জন্মকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তিনি জানান, তিব্বতি বৌদ্ধ নেতারা তার উত্তরসূরীর সন্ধান করবেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এই বিষয়ে অন্য কারো হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই’।

১৪তম দালাই লামা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি বৌদ্ধদের কাছ থেকে এই পদটির ধারাবাহিকতা বজার রাখার জন্য অনেক অনুরোধ পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এসব অনুরোধ পাওয়ার পর আমি নিশ্চিত করছি যে দালাই লামার প্রতিষ্ঠানটি অব্যাহত থাকবে।’

বুধবার ভারতের ধর্মশালায় তিন দিনের এক ধর্মীয় সম্মেলনে দালাই লামা এই মন্তব্য করেন। ধর্মশালা হলো উত্তর ভারতের একটি শহর যেখানে দালাই লামা ১৯৫৯ সাল থেকে বসবাস করছেন। তিনি চীনের বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহের পর তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে এসে এখানে বসবাস করছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিব্বতি লেখক ও অধিকার কর্মী তেনজিন সুন্দুয়ে বুধবার দালাই লামার ঘোষণাকে চীনের জন্য ‘মুখে চপেটাঘাত’ বলে অভিহিত করেন। চীন তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল শাসন করে। চীন দাবি করে যে, দালাই লামার উত্তরসূরী নিয়োগের ক্ষমতা চীনের আছে।

অহিংস আন্দোলনের জন্য শান্তিতে নোবেল বিজয়ী দালাই লামাকে চীন একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে অভিহিত করে। দালাই লামা এর আগে বেইজিংকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন লামাদের পুনর্জন্ম ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ না করতে।