গাজা উপত্যকায় সামরিক আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ভুলবশত নিজেদের ছোড়া গুলিতে অন্তত ৩১ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) ইসরায়েলি আর্মি রেডিও এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সামরিক দুর্ঘটনায় মোট ৭২ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে ৩১ জন নিহত হয়েছেন নিজেদের বাহিনীর গুলিতে।
২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর গাজায় স্থল আগ্রাসন শুরুর পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত স্থল অভিযানে মোট ৪৪০ জন সেনা নিহত হয়েছে, যার মধ্যে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার প্রায় ১৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফ্রেন্ডলি ফায়ারের বাইরে গোলাবারুদের বিস্ফোরণ ও ত্রুটিজনিত কারণে ২৩ জন, সাঁজোয়া যানচাপায় সাতজন এবং অনির্দিষ্ট গুলিবর্ষণের ঘটনায় ছয়জন সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রের দুর্ঘটনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে রয়েছে উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়া এবং ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রপাতির ভুল ব্যবহারের ঘটনা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৮২ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ৬ হাজার ৩২ জন আহত হয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৫৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের একটা বড় অংশ নারী ও শিশু।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলাও চলছে।