পাকিস্তানের করাচিতে লিয়ারির এলাকায় শুক্রবার সকালে পাঁচতলা একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। এ ঘটনায় উদ্ধারকারী দলগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
দেশটির উদ্ধার সংস্থা ১১২২-এর প্রধান আবিদ জালালউদ্দিন শেখ জানিয়েছেন, কোনো বাধা ছাড়াই রাতভর অভিযান চলেছে। ধ্বংসস্তূপ সরাতে এবং উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করতে আরও সময় লাগবে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে করাচির লিয়ারি এলাকার ফিদা হোসেন শাইখা রোডে ঘটে।
ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দ জানান, এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শনকালে করাচির ডিআইজি সৈয়দ আসাদ রাজা বলেন, ভবনটি আগেই জরাজীর্ণ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং বাসিন্দাদের সরে যেতে তিনবার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিতে ভবনের কাঠামো আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।
রেসকিউ-১১২২ এক বিবৃতিতে জানায়, নিহতদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ছয়জন নারী এবং একটি শিশু রয়েছে।
এদিবে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো আটজনের মতো আটকে থাকতে পারেন বলে ধারণা করেছে স্থানীয়রা।
জানায় যায়, ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি পরিদর্শনের সময় ওই ভবনটিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ওই ভবনের বাসিন্দাদের তিনবার উচ্ছেদ নোটিশ পাঠানো হয়।
করাচিতে ভবন ধস নতুন কিছু নয়। ২০২০ সালের জুনে লিয়ারিতেই পাঁচতলা একটি ভবন ধসে ২২ জনের মৃত্যু হয়। একই বছর মার্চে গুলবাহার এলাকায় ভবন ধসে মারা যান ২৭ জন। এর আগে ২০১১ সালে লিয়ারির মুসা লেনে এক ধসে প্রাণ হারান ৩৩ জন।