ময়মনসিংহের তারাকান্দা ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় দুই কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন তারাকান্দার রফিকুল ইসলাম (৪৫) এবং ঈশ্বরগঞ্জের মজনু মিয়া (৫৫)।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথক এ দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তারাকান্দা
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. টিপু সুলতান জানান, ‘উপজেলার ভালকি নয়াপাড়া গ্রামের একটি ফিশারির পাশ থেকে সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রফিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত আ. রশিদের ছেলে।’
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, রোববার রাত ৯টার দিকে রফিকুল ‘শফিকুলের দোকানে’ যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে স্বজনরা খোঁজ করতে বের হয়ে তার জুতা ও টর্চলাইট রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ফিশারির পাড়ে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রফিকুলের মরদেহ গলায় ফাঁস ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অন্যত্র হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।
ওসি টিপু সুলতান বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি, তবে অভিযান চলছে।’
ঈশ্বরগঞ্জ
এদিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান জানান, ‘আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের রামছড়া বিল থেকে মজনু মিয়া (৫৫) নামের এক কৃষকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মজনু মিয়া ওই এলাকার শামছুদ্দিনের ছেলে।’
জানা যায়, তিনি গতকাল রোববার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সোমবার দুপুরে মাছ ধরতে গিয়ে তার ভাতিজা ফরিদ মিয়া বিলের পাশে মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে স্বজনরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত আসছিল। পরে তাকে গোসল করিয়ে কাফন পরিয়ে বাড়ির উঠানে খাটিয়ায় শায়িত রাখা হয়।
পুলিশ খবর পেয়ে বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মরদেহে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে সন্দেহজনক মৃত্যু হওয়ায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন