ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বাসে আগুন দেয়ার চালকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার সিসিটিভি দেখে আসামি শনাক্ত করে আনোয়ার হোসেন (৩৬) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোররাতে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ বাজার এলাকার থেকে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিহতের ছোট বোন ময়না আক্তার ফুলবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রুজনুজ্জামান দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা সকল প্রস্তুতি সর্ম্পূন্ন করেন। পরে আসামি শনাক্তের পর নিহতের ছোট বোন বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এ বাসটিতে যাত্রী শাহিদ ইসলাম বাদশা (২০) এবং তার মা মোছা. শারমিন সুলতানা রুমকি (৪৫) অবস্থান করছিলেন। রাত বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে তারা ভোরে বাড়ি ফেরার আশায় বাসের ভেতরে অবস্থান করছিল। এ সময় মাক্স পড়া অবস্থায় ৩ যুবক এসে পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা আলম এশিয়া পরিবহনের বাসটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি টের পেয়ে বাসের গ্লাস ভেঙ্গে শাহিদ ইসলাম বাদশা (২০) এবং তার মা মোছা. শারমিন সুলতানা রুমকি (৪৫) বেরিয়ে আসে। এতে পড়ে গিয়ে মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত যাত্রী শারমিন সুলতানা রুমকিকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এ সময় ঘুমিয়ে থাকা চালক মো. জুলহাস মিয়া বাসের ভেতরে আটকা পড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সেখানেই মারা গেছে।
নিহত জুলহাস উপজেলার কৈয়ারচালা গ্রামের বাসিন্দা মো. সাজু মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বাস চালিয়ে আসছেন।


