ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

নওগাঁয় ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৭:৩৫ এএম
নওগাঁর সাপাহারে ম্যাংগো ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

‘আমের বাণিজ্যিক রাজধানী সাপাহার’ স্লোগানে নওগাঁর সাপাহারে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং সাপাহার উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মেলার আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নওগাঁর উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ, আল হেলাল ইসলামী একাডেমির অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম, সাপাহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও আমচাষি রফিকুল ইসলাম, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা প্রমুখ।

ফেস্টিভ্যালে ৪০টি স্টলে দেশি-বিদেশি বাজারে আম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, আমজাত খাদ্যদ্রব্য, প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চাষিদের প্রোফাইল এবং বিভিন্ন জাতের আম প্রদর্শন করা হচ্ছে।

স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এ উৎসব নতুন বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। এতে নওগাঁর আমকে দেশ-বিদেশে আরও জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব হবে।

চাষিদের দাবি, নওগাঁয় অধিকাংশ বাগানে উত্তম কৃষি চর্চা (GAP) অনুসরণ করে আম উৎপাদন করা হয়। তবে উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানি খুবই সীমিত। রপ্তানি না বাড়ালে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

আমচাষি সোহেল রানা বলেন, ‘রপ্তানির আম দূষণমুক্ত রাখতে হয়, না হলে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি থাকে। এর জন্য প্রয়োজন ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (VHT)। এছাড়া প্যাকিং হাউজ ও সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টিন) সনদ সহজে পেতে নওগাঁতেই একটি কোয়ারেন্টিন অফিস স্থাপন দরকার।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ জানান, সাপাহারে এখন ২০ হাজারের বেশি আমচাষি রয়েছেন এবং ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আম চাষ হয়। গত বছর এখানে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার আম বেচাকেনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সাপাহারের আম রপ্তানিযোগ্য ও সুস্বাদু। রপ্তানিকারকদের প্রতি আহ্বান, আপনারা এই আম বিদেশে নিয়ে যান।’

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘নওগাঁর আমচাষ এখন শিল্পে পরিণত হয়েছে। এ অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই আম উৎপাদন হয়। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো রপ্তানির অভাব। বিদেশে দুই কোটিরও বেশি বাংলাদেশি রয়েছে—তাদের চাহিদাও আমরা মেটাতে পারি না।’

তিনি জানান, আম রপ্তানির বাধা দূর করতে নওগাঁয় VHT প্ল্যান্ট ও প্যাকিং হাউজ স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।