বিএনপির আলোচনা সভায় আ’লীগ নেতা!

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ১০ নং কোটাকোল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এক আওয়ামী লীগ নেতার উপস্থিত থাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে! গত ৩ (সেপ্টেম্বর) ১০নং কোটাকোল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খান মাহমুদ আলম নেতাকর্মীদের নিয়ে ছবি তোলেন।পরে ছবিটি মোঃশামীম নামের একজন তার ফেসবুকে আপলোড করলে,সেখানে দেখা যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নান্টু যুবদলের আহবায়ক খান মাহমুদ আলমের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন!এছাড়া সেই ছবিতে আরও ছিলেন,জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আহাদুল ইসলাম,কোটাকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফর মুন্সিসহ অনেকেই! ছবিটি নিয়ে উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপি, যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের একাধিক নেতাকর্মী এ প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যেখানে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করার কথা, দলের ভিতর কেউ যাতে অনুপ্রবেশ না করতে পারে সেদিকে কঠোর নজর রাখার কথা দেশনায়ক তারেক রহমান বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, সেখানে কি করে যুবদলের আহবায়ক খান মাহমুদ আলম আওয়ামী লীগের লোক নিয়ে ছবি তোলেন, তাকে সাথে রাখেন? এজন্যই কি ১৭ বছর মামলা-হামলা,জেল-জুলুম এর স্বীকার হয়ে দল করেছি। আমরা অনতিবিলম্বে এধরণের নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে। 

এ বিষয়ে ১০ নং কোটাকোল ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান হাসান জানান, নান্টুকে আমি আওয়ামী লীগ নেতা হিসাবে চিনি।তিনি আওয়ামী লীগের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজার বিভিন্ন প্রোগ্রামে তার পাশে থেকে ছবি তুলতো, এখন দেখছি বিএনপি নেতাদের পাশে! এলাকার সবাই জানে সে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। 

বিষয়টি নিয়ে খান মাহমুদ আলম বলেন, ‍‍`স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত একটি সভা শেষে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি ছবি তুলি,আমার জানামতে সেখানে আওয়ামী লীগের কেউ থাকার প্রশ্নই ওঠে না, তাছাড়া নান্টু নামে যে বেক্তির কথা বলা হচ্ছে, ছবিতে সে আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে দেখলাম,তাকে তো আমি চিনিই না! তাছাড়া আমিতো সামনে তাকিয়ে ছবি তুলেছি, কে আমার পেছন