ঢাকা রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলায় হাসিনা-কাদের-শামীম ওসমানসহ ৪৫ আসামি

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও সাবেক এমপি একেএম শামীম ওসমান। ছবি- সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মোহাম্মদ সজিবের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি একেএম শামীম ওসমানসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে একশ থেকে দেড়শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

নিহত সজিবের পিতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। শহীদদের গেজেট তালিকায় সজিবের নাম ৫৩৬ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ১৩ মাস পর সন্তান হত্যার অভিযোগ এনে তিনি নারায়ণগঞ্জ আদালতে আবেদন করলে আদালতের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মামলাটি নথিভুক্ত করে। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এ মামলা দায়ের হলেও বিষয়টি রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।

মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে কৃষক লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক আব্দুল মতিন প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলকে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত সজিব সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেটের বিক্রমপুর হার্ডওয়ার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। ঘটনার দিন ২০২৪ সালের ২২ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাজারো ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিল। সকাল ১১টার দিকে দোকান বন্ধ হয়ে গেলে সজিব সরাসরি আন্দোলনে যোগ দেন।

এ সময় আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার হুকুম, ওবায়দুল কাদেরের পরিকল্পনা ও শামীম ওসমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলা চালান। বেলা আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিটে গুলিবিদ্ধ হয়ে সজিব ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল নেওয়া হলে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাদী সালাউদ্দিন অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে তিনি কাগজপত্র সংগ্রহ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন, যা আদালতের নির্দেশে থানায় নথিভুক্ত হয়।