নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পৃথক দুই স্থানে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এক ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনার সন্দেহ করা হচ্ছে, অন্যটিতে হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে সোনারগাঁ উপজেলার টিপরদী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে চৈতী গার্মেন্টসের সামনে সড়কের পাশে এক মধ্যবয়সি ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা ও হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
অন্যদিকে, একই দিন দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিজয়নগর এলাকায় ঝোপের ভেতর থেকে রিজওয়ান (১৯) নামে এক তরুণ অটোরিকশা চালকের গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিজওয়ান বারদী ইউনিয়নের ভটেরপাড়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে স্থানীয়রা রিজওয়ানের মরদেহ দেখতে পান। মরদেহ থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে তার অটোরিকশা পড়ে ছিল, যেখানে তিনটি জুতা ও রক্তের দাগ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
নিহতের পিতা মনির হোসেন জানান, ‘অল্প কিছুদিন আগে ওকে নতুন অটো কিনে দিয়েছিলাম। প্রতিদিনের মতো আজ সকাল ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। এরপর সোয়া ১১টার দিকে জানতে পারি, ওর লাশ পাওয়া গেছে।’
মরদেহ উদ্ধারে তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সেলিম বলেন, ‘নিহতের অটোরিকশা থেকে তিনটি জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
দুটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকাজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ উভয় ঘটনার বিষয়ে পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে।



