ঢাকা শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫

সোনারগাঁয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাড়িয়ারচর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতের এ ঘটনায় অন্তত ১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের শিকার হয়। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আষাড়িয়ারচর এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দুই ভাই আব্দুর রউফ ও মো. জলিলের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার রাতের বিরোধের জেরে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে।

একপর্যায়ে রউফ গ্রুপ জলিল গ্রুপের অনুসারীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে জলিল গ্রুপের সারোয়ার হোসেন ও সজীবের বাড়িসহ অন্তত ১২টি বসতঘর পুড়ে যায় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

খবর পেয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের কাজেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আব্দুর রউফ অভিযোগ করে বলেন, ‘জলিল ও তার লোকজন গত রাতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।’ তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, ‘আমাদেরকে ফাঁসানো হচ্ছে।’

অন্যদিকে মো. জলিল জানান, ‘রউফ গ্রুপ পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।’

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মধ্যস্থতা না থাকায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে রূপ নেয়।”

সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। তবে কাজ করতে কিছুটা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।”

ঘটনাস্থলে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন জানান, “পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই গ্রুপের প্রধান আব্দুর রউফ ও মো. জলিলকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।