রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ১১:২৫ এএম

জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে নাতিকে হত্যার অভিযোগে দাদি আটক

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ১১:২৫ এএম

স্বজনদের আহাজারি।   ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

স্বজনদের আহাজারি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নাটোরের গুরুদাসপুরে জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দুই বছর বয়সি নাতিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দাদির বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার ইকুড়ি গ্রামের শাহাদাত শাহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দাদিকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত শিশু নুর ইসলাম উপজেলা সোনাবাজু পূর্বপাড়া গ্রামে শাকিল আহম্মেদ ও পায়েল খাতুন দম্পতির একমাত্র ছেলে। শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে উপজেলার রোলভা গ্রামে জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে পায়েল খাতুনের সঙ্গে সোনাবাজু গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে শাকিল হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পুত্রবধূর সঙ্গে কলহ চলছিল সখিনা বেগমের। প্রায়ই পুত্রবধূকে মারধর করে নির্যাতন করতেন তিনি। কয়েকদিন আগে মারধর করলে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে যায় শাকিল হোসেন।

পায়েল খাতুন বলেন, ‘শনিবার উপজেলার ইকুড়ি গ্রামের শাহাদাত শাহ নামের মামাশ্বশুরের বাড়িতে বিয়ে খাইতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার শাশুড়িও আসে। দুপুর ১২টার দিকে শিশুকে ঘুম পাড়িয়ে বাইরে যাই। দেড়টার দিকে আমার শাশুড়ি শিশুকে ঘুম থেকে তুলে জুস খাওয়ায়। তারপর থেকে শিশু অসুস্থ হয়ে যায়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছে। দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই ছেলে মারা যায়।’

তবে সখিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে নিজেই জুস কিনে দিয়েছে। সেই জুস আমি খেয়েছি, নাতিকে খাইয়েছি, এমনকি মেয়ের ঘরের নাতিকেও খাইয়েছি। আমাদের কিছু হয়নি। সে কীভাবে মারা গেল জানি না। পারিবারিক কলহের কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ছেলের বউ।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটিকে আপাতত অপমৃত্যু হিসেবে মামলা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। শিশুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অপেক্ষা করছি। প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!