ঢাকা মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

নাটোরে আইনজীবীর আঘাতে সাংবাদিক আহত

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০৭:৫৩ এএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নাটোরের বড়াইগ্রামে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আব্দুর রশিদ (৫০) নামের এক আইনজীবীকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে এলাকাবাসী।

এ সময় সংবাদ সংগ্রহকালে ওই আইনজীবীসহ ২–৩ জন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান। গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার হারোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রশিদ একজন মামলাবাজ প্রকৃতির আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। এ কারণে এলাকাবাসী তাকে ভয় পায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই সুযোগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিবাহবহির্ভূতভাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে নিজ বাড়িতে রাখেন এবং অবৈধ সম্পর্ক বজায় রাখেন।

বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এলাকাবাসী তাদের একই কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় অবরুদ্ধ করে।

খবর পেয়ে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি ও বড়াইগ্রাম ইউনিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মাহবুব হোসেনসহ আরও ছয়জন সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আব্দুর রশিদের বাড়িতে যান। সেখানে তারা নারীসহ তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।

একজন আইনজীবী হয়েও বিবাহবহির্ভূতভাবে বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ কোনো সদুত্তর না দিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

একপর্যায়ে ওই নারী, আব্দুর রশিদ ও তার ভাই দুলাল বাঁশের লাঠি নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান। এতে এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক মো. ওমর ফারুকের মাথা ও গালে গুরুতর আঘাত লাগে এবং তিনি রক্তাক্ত হন।

এছাড়া অন্যান্য সাংবাদিকদের ওপরও হামলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি দেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাংবাদিকরা প্রাণে রক্ষা পান।

ঘটনার বিষয়টি মুঠোফোনে থানায় জানানো হলে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব সঙ্গী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই অভিযুক্ত আইনজীবী আব্দুর রশিদ পালিয়ে যান।

পরে আহত সাংবাদিক ওমর ফারুককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। হামলার ঘটনার ভিডিও সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক মো. মাহবুব হোসেন বড়াইগ্রাম থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।