ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

ভাবিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. রাসেল মিয়া। ছবি- সংগৃহীত

কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ভাবিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে নেত্রকোণা পূর্বধলা উপজেলার মো. রাসেল মিয়া নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই দণ্ডাদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. রাসেল মিয়া নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. আলাল উদ্দিনের ছেলে। নিহত লিপি আক্তার একই গ্রামের বিজিবি সদস্য আজিজুল ইসলামের স্ত্রী।

রায়ের বিবরণে জানা গেছে, স্বামী বিজিবিতে চাকরি করার কারণে লিপি তার বোনের সঙ্গে পূর্বধলা পশ্চিমপাড়া গ্রামে বসবাস করতেন। রাসেল তার বোনের চাচাতো দেবর। তিনি লিপিকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতেন এবং কুপ্রস্তাব দিতেন। বিষয়টি জানার পর লিপির স্বামী রাসেলের মা-বাবা ও বড় ভাইকে জানান। এর জেরে রাসেল মিয়া প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে লিপি তার ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় রাসেল কৌশলে লিপির ঘরে ঢুকে অ্যান্টিকাটার দিয়ে তার গলার শ্বাসনালী কেটে দেন। এতে লিপির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় লিপির বড়বোন ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে রাসেলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে আসামি নিজে আদালতে দোষ স্বীকারোক্তি প্রদান করে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। আসামির উপস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি হিসেবে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবুল হাশেম এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান।