বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচনের পরে বাংলাদেশে বড় আকারে অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, রপ্তানি বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতের সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি জানান, নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে রায় দিলে শিল্পখাতে হারানো চাকরি ফিরিয়ে আনা এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আত্মকর্মসংস্থানের খাতভিত্তিক বিস্তারিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের রূপরেখাও প্রস্তুত রয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পিআর প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, পিআর পদ্ধতি চাইলে সেটা জনগণের অধিকার। তবে এ বিষয়ে বিএনপির দেওয়ার কিছু নেই। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই সংসদে বিষয়টি উপস্থাপন করতে হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দেশকে বাঁচাতে হলে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার গঠন জরুরি, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। বর্তমানে সরকার ও জনগণের মধ্যে কোনো সেতুবন্ধন নেই, যার কারণে নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি।
সন্ধ্যায় কুমুদিনী প্রাঙ্গণে পৌঁছালে আমীর খসরুকে স্বাগত জানান কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় ও কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ-সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা, সাধারণ সম্পাদক এসএম মহসীন প্রমুখ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন