নোয়াখালীর হাতিয়ার গুল্লাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলালের আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি চার মিনিট ৫০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের, যেখানে দুজনকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। জানা গেছে, ভিডিওটি নিজেই ধারণ করেছিলেন মনিরুজ্জামান দুলাল।
বর্তমানে তিনি নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব ভাটিরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তবে অতীতেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ ছিল এবং সেই কারণেই তাকে হাতিয়া থেকে বদলি করা হয়েছিল।
স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, ‘মনিরুজ্জামান দুলালের অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারির কথা এলাকাবাসীর অজানা নয়। একজন শিক্ষক হয়ে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে তিনি শুধু নিজেকে নয়, পুরো শিক্ষক সমাজকেই কলঙ্কিত করেছেন।’
একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। এমন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপকর্মে লিপ্ত হতে সাহস না পায়।’
জানা যায়, মনিরুজ্জামান দুলালের বিরুদ্ধে অতীতেও নারী সংক্রান্ত নানা অভিযোগ ওঠে এবং হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী একাধিকবার তার বিরুদ্ধে সালিশ করেন। সংশোধনের কোনো লক্ষণ না দেখায় শেষ পর্যন্ত তাকে হাতিয়া থেকে সদর উপজেলায় বদলি করা হয়।
ভিডিও ফাঁসের পর অভিযুক্ত শিক্ষক গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার এক আত্মীয়। অভিযোগের বিষয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবীব বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমাদের দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। তবে অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনা ঘিরে শিক্ষক সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সবাই একবাক্যে দুলালের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।