ঢাকা শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

নোয়াখালীতে সুব্রত হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের পশ্চিম চরজুবলীতে সংঘটিত সুব্রত চন্দ্র দাস (৪৭) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ মূল আসামি নূর মোহাম্মদকে (৫৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চরজব্বর থানা পুলিশ সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার নূর মোহাম্মদ উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের প্রয়াত আলী আহম্মদের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, সুব্রত চন্দ্র দাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রকৃতপক্ষে মোটরসাইকেলের বাম্পার ও স্ট্যান্ডের আঘাতে গলা কেটে তার মৃত্যু হয়।

চরজব্বর থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, ‘গত ১৩ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার পশ্চিম চরজুবলী এলাকায় জনৈক রাজ্জাক সওদাগরের ধান জমির উত্তর পাশে পাকা সড়কে সুব্রত চন্দ্র দাসের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করার পর পুলিশের একাধিক টিম দ্রুত অভিযান শুরু করে। প্রাথমিক তদন্ত, প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি হিসেবে নূর মোহাম্মদকে শনাক্ত করা হয়।’

ওসি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে পুলিশের অভিযানে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর ওয়াপদা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই রাতে পূর্ব শুল্লুকিয়া এলাকার জনৈক জসিম ড্রাইভারের ঘর থেকে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।’

ওসি জানান, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আসামি নূর মোহাম্মদ স্বীকার করেছেন যে, ১৩ অক্টোবর দুপুরে নিজের মোটরসাইকেলযোগে ভাগিনা ফয়সালকে (১০) সঙ্গে নিয়ে গাছ কাটার শ্রমিকদের খাবার পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। একই সময় ভুক্তভোগী সুব্রত চন্দ্র দাস চর আমানউল্লাহ গ্রামে তার স্ত্রী রিক্তা দাসকে আনার জন্য যাচ্ছিলেন। সুব্রত একটি সিএনজি অটোরিকশাকে অতিক্রম করার সময় সামনে থেকে আসা দ্রুতগামী মোটরসাইকেল দেখে হঠাৎ ব্রেক করলে মোটরসাইকেলসহ পড়ে যান।’

আসামির বরাতে ওসি শাহীন মিয়া বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা সুব্রত চন্দ্র দাসের ওপর দিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা নূর মোহাম্মদের মোটরসাইকেলটি চলে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলের বাম্পার ও স্ট্যান্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সুব্রতের গলা কেটে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশের কাছে একই বিবরণ দিয়েছেন।’

মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি জানান। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে।