পাবনার ঈশ্বরদীতে এক স্কুলছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত অটোচালক আব্দুর রহিমের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচারা ৪৪ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক তারানা আফরোজ, সানজিদা খাতুন, মো. আব্দুর রকিব, নাহার আক্তার, মো. জসিম উদ্দিনসহ এলাকাবাসীর মধ্যে মনজুর, আলম ফকির, মিনারুল বিশ্বাস, শাহিন হোসেন, খাইরুল ইসলাম, শহিদুল ফকির, রেজাউল সরদার, রেহানা খাতুন, নিঝুম বেগম, আব্দুল কুদ্দুস, ভুক্তভোগী শিশুর মা রহিমা খাতুনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সমাজে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের কোনো স্থান নেই। শিশুদের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, আনন্দ হারিয়ে ফেলে এবং পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে।
৪৪ নম্বর বড়ইচারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘সমাজে এখনও হীনমনের কিছু মানুষ আছে, যাদের কারণে এ ধরনের ঘৃণিত কাজ ঘটে। এসব ঘটনায় শিশুরা মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, কারও সঙ্গে কথা বলে না, বাড়ির বাইরে খেলতে যায় না। এতে তাদের পড়ালেখায়ও ক্ষতি হয়। অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা উচিত।’
গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচারা স্কুলপাড়া গ্রামে নির্জন একটি লিচুবাগানে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রকে বলাৎকার করে একই গ্রামের অটোচালক আব্দুর রহিম (৬০)।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রহিম পলাতক রয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুর নূর বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।’