ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

মা-বাবাকে হারিয়ে ৯ বছরের মরিয়মের কাঁধে সংসারের ভার

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মাদারবাড়িয়া গ্রামের ৯ বছর বয়সেই মা-বাবাকে হারিয়ে মরিয়ম খাতুনকে ধরতে হয়েছে পরিবারের হাল। ছোট্ট কাঁধে পরিবারের সেই চাপ সামলিয়ে মা-বাবার মতো ভালোবাসা দিয়ে চেষ্টা করছেন ছোট ভাইকে দেখভাল করার।

প্রায় পাঁচ বছর আগে স্ট্রোক করে মারা যান মরিয়মের বাবা ওয়াজেদ আলী। সেই শোক কাটতে না কাটতেই মারা যান মা আজিমা খাতুনও।

বাবা-মাকে হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন তাদের দুই শিশুসন্তান। বড় সন্তান মরিয়ম খাতুন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে, আর ছোট ছেলে ইসমাইল হোসেন (৬) প্রাক-প্রাথমিক বিভাগে ভর্তি রয়েছে। মরিয়ম এখন তার ছোট ভাইয়ের খাওয়া-দাওয়া, লেখাপড়া ও রাতের ঘুম পর্যন্ত সবকিছুই দেখাশোনা করছে।

উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির জানান, বাচ্চা দুটোর পিতা পাঁচ বছর আগে স্ট্রোক করে মারা যান। মা বিধবা হয়ে অত্যন্ত কষ্টে সন্তানদের লালন-পালন করছিলেন।

কিন্তু ২৩ দিন আগে মাও স্ট্রোকে মারা যাওয়ায় দুই শিশু এতিম হয়ে পড়েছে। তবুও মরিয়ম ছোট ভাইয়ের দায়িত্ব নিয়ে পড়াশোনা ও সংসার দুটোরই হাল ধরেছে।

সবার কাছে আকুতি জানিয়ে মরিয়মের প্রতিবেশী চাচা হোসেন আলী বলেন, ছোট্ট শিশু মরিয়মের তাদের মা-বাবা মারা যাওয়ায় শিশুরা এতিম হয়ে গেছে। এখন তাদের চলা কষ্টের হয়ে গেছে।

পাড়ার সবাই মিলে তাদের দেখভাল করছে। তবে তাদের ঘরের পরিস্থিতি খুবই খারাপ, জমি-জমা কিছুই নেই। সমাজের বিত্তবান মানুষরা যদি তাদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে তারা চলতে পারবে।

ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাব সভাপতি ও হিউম্যান ওয়েলফেয়ার রিসোর্স সেন্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুব উল আলম বাবলু ‘রূপালী বাংলাদেশ’কে জানান, এমন খবর পেয়ে আমরা চেষ্টা করছি তাদের জন্য কিছু করার। আমরা আশা করি, এই এতিম শিশুদের পাশে অন্যরাও দাঁড়াবে। অসহায় শিশু পরিবারটির জন্য যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।