পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টিয়াখালী নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও প্লাবনের হাত থেকে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে অভিনব কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোমবার বেলা ১১টায় কলাগাছের তৈরি ভেলায় ভেসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী নদীতে দাঁড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয় গণগবেষক হালিমা আয়শা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য শাহীন মোল্লা, বেল্লাল হোসেন, রোকেয়া বেগম, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নাইম, স্থানীয় গণগবেষক মেহেদী হাসান এবং কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চের সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা জানান, ‘বিগত ৪০ বছর ধরে এলাকার প্রায় ২৫০টি পরিবার নদীর জোয়ার-ভাটার কারণে চরম দুর্ভোগে রয়েছে। প্রতিবছর একাধিকবার ঘূর্ণিঝড় ও অস্বাভাবিক জোয়ারে ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও কৃষিজমি প্লাবিত হয়। সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর সময় পুরো গ্রাম চার দিন পানির নিচে ডুবে ছিল। এতে প্রায় ২০০ একর উর্বর তিন ফসলি জমিতে এখন একবার ফসল ফলাতেও সমস্যা হচ্ছে।’
হালিমা আয়শা তার বক্তব্যে বলেন, ‘গত বছরের অক্টোবরে আমরা মানববন্ধন করেছি, জোয়ারের পানিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিত আবেদনও দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
তারা দাবি জানান, অ্যাডভোকেট নূর হোসেনের বাড়ি থেকে খালেদ প্যাদের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় স্লুইসগেটসহ টেকসই রিং বেড়িবাঁধ দ্রুত নির্মাণ করতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তারা বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে গিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।