ঢাকা বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

‘৭০-এর ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড় স্মরণে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্বলন। রূপালী বাংলাদেশ

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর—ইতিহাসের সেই ভয়াল দিনটি আজও বাংলাদেশের উপকূলবাসীর মনে দুঃসহ স্মৃতি হয়ে আছে। ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা এক মহাঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে ভোলা, পটুয়াখালী ও নোয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে। মুহূর্তের মধ্যে জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় গ্রাম, হারিয়ে যায় লাখো প্রাণ। মানবসভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারান প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ, যা এখনো বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত।

এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে এবং সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটি—ইতিহাসে পরিচিত ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড় (Bhola Cyclone) নামে।

জলবায়ু-বিপন্ন উপকূলবাসীর সুরক্ষার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি জোরালো হোকএই আহ্বানে ১৯৭০-এর ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের সময় পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। ভয়াল ১২ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উপকূল দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড় (Bhola Cyclone)। ছবি- সংগৃহীত

এ সময়ে বক্তব্য রাখেন, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নেছারউদ্দিন আহমেদ টিপু, সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের উপকূলীয় সমন্বয়ক মেজবাহউদ্দিন মাননু।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন: কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, ফরিদ উদ্দিন বিপু, ‘আমরা কলাপাড়াবাসী’র সভাপতি সম্পাদক নাজমুস সাকিব, সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ। 

এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৭০ সালের ভয়াল ১২ নভেম্বর এই দিনের বেদনাবিধূর ইতিহাস বাঙালি জাতি আজও ভুলতে পারেনি। ভেসে যায় গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি আর ক্ষতিগ্রস্থ হয় মাঠ ফসল এবং অসংখ্য গাছপালা, পশু-পাখি। পুরো উপকূল মুহূর্তেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়।