বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুয়াকাটা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৩:২১ পিএম

কৃষক পরিবারের ওপর শ্রমিকদল নেতার হামলায় আহত ৬

কুয়াকাটা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৩:২১ পিএম

কলাপাড়া থানা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কলাপাড়া থানা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে কৃষক পরিবারের ওপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে স্থানীয় শ্রমিকদল নেতা ফরিদ চৌকিদারের নেতৃত্বাধীন একটি দল। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জন আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থিত একটি ছোট মাছের ঘের দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছিলেন আলমগীর মুসুল্লি। গত পরশু ঘেরটির মাছ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আলমগীরের সঙ্গে স্থানীয় নূরজামাল হাওলাদারের বাকবিতণ্ডা হয়।

এর জেরে বুধবার সন্ধ্যায় শ্রমিকদল নেতা ফরিদ চৌকিদার, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাজিব, যুবদল নেতা নাজমুলসহ ১৫-২০ জনের একটি দল কৃষক পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ঘরের বিদ্যুতের মিটার ভাঙচুরসহ ঘরে লুটপাটও করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী আলমগীর মুসুল্লি বলেন, তাদের সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। নূরজামাল হাওলাদার টাকা দিয়ে ওদের ভাড়া করে আমাদের ওপর হামলা করিয়েছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ঘটনায় আলমগীর মুসুল্লি, তার স্ত্রী ময়না বেগম, দুই ছেলে হাসান ও হাবিব এবং ভাই আল-আমিন আহত হন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাসান, হাবিব ও ময়না বেগমের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে।

আহত হাসান বলেন, আমরা শুধু ঘের থেকে মাছ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা পরিকল্পিতভাবে দল বেঁধে এসে আমাদের মারধর করেছে, ঘরও ভাঙচুর করেছে।

হাবিব বলেন, সেদিন বিকেলেই তারা আমাদের হুমকি দিয়েছিল। পরে সন্ধ্যায় এসে হামলা চালায়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর থেকে ফরিদ চৌকিদার এলাকায় নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ফরিদ বিভিন্ন জায়গায় টাকার বিনিময়ে ‘বাহিনী’ নিয়ে মারামারি করে থাকে।

অভিযোগ অস্বীকার করে নূরজামাল হাওলাদার বলেন, এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

অভিযুক্ত ফরিদ চৌকিদার বলেন, আমি মারধর করিনি। মারামারির ঘটনা শুনে ছাড়াতে গেছি। এ সময় আমিও মারধরের শিকার হয়েছি। টাকা-পয়সা নিয়ে মারধরের বিষয়টিও তিনি এড়িয়ে যান।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!