পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার নেতা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. পরিতোষ মিত্রের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি এবং স্থানীয় জমি দখল ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভয়ভীতি দেখানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার ৫নং ধাওয়া ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণ।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ধাওয়া বাজার সড়কে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে হামলার শিকার পরিতোষ মিত্র বলেন, আমি দীর্ঘদিন জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার রাজনীতি ও আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত।
কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর বিকেলে ধাওয়া ইউনিয়নের বিএনপি নেতা পরিচয়ে আসা সন্ত্রাসী আসাদুজ্জামান পলাশ কাজী আমাকে মারধর করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভাণ্ডারিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি মাও. মোফাজ্জেল হোসাইন, ধাওয়া ইউনিয়ন সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, পিরোজপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি শাহ জামাল আলম জোমাদ্দার, ওলামা বিভাগের সভাপতি মাও. রুহুল আমিন, ধাওয়া ইউনিয়ন সেক্রেটারি মো. হাফিজুর রহমান জাকির, জামায়াত নেতা আব্দুল হক হাওলাদার এবং সমাজসেবক মনিরুজ্জামান মৃধাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বিক্ষোভ সমাবেশে শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, আসাদুজ্জামান পলাশ কাজী ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পলাতক আওয়ামী ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান টুলুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে হামলা, মামলা, চাঁদাবাজি ও জমি দখলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
৫ আগস্টের পর তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে এলাকায় পূর্বের মতোই হামলা, মামলা, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন