ঢাকা শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সরকারি গুদাম ভর্তি পচা ধান-চাল, সিলগালা ৪

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১১:৪১ এএম
খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে অধিকাংশ ধান ও চাল নষ্টের সত্যতা পান উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীর বাগমারায় সরকারি খাদ্য গুদাম ভর্তি রয়েছে পচা ধান আর চালে। গুদামে সংরক্ষিত চালের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ চাল নষ্ট হয়ে গেছে।

এই পচা চাল সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। ফলে পচা চাল খেয়ে মারাত্মক ব্যাধির সম্মুখীন হতে পারেন সুবিধাভোগীরা। এই সরকারি গোদামের চাল সুফলভোগীরা পেয়ে খেতে পারছিলেন না। যার কারণে তারা প্রশাসনের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা পান।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার ৪টি খাদ্য গুদামে গিয়ে ধান এবং চাউলের বস্তা সরেজমিনে দেখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম। পরির্দশন করে তিনি অধিকাংশ ধান ও চাল নষ্টের সত্যতা পান।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এটি আসলে গুদাম কর্মকর্তাদের অবহেলা। তিনি যে পদের দায়িত্ব পালন করবেন সেটি খেয়াল রাখবেন না সেটা তো মেনে নেয়া যায় না। সরকারের কোটি কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হচ্ছে অথচ তিনি জানেন না এটা হতে পারে না। এই চাল খাওয়ার অনুপযোগী। আমি নিজেও জানতাম না। সুফলভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই গুদামে অভিযান পরিচালনা করি। অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় বর্তমানে চারটি গুদাম সিলগালা করে দেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার সরকারি সুফলভোগীদের মাঝে এই চালগুলো বিক্রয় করা হয়ে থাকে। এই চালের মান এতটাই খারাপ যা খাওয়ার অনুপযোগী। উপজেলার ওসিএলএসডি বাচ্চু মিয়া দাবি করেন এতো চাউল চেক করে নেয়া সম্ভব হয় না। পাশাপাশি চালগুলো বিভিন্ন ঠিকাদার কর্তৃক সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। ট্রাক ভর্তি করে ঐ সকল চাউলের বস্তা আনা হয় খাদ্য গুদামে। যার কারণে সবগুলো চেক করা যায় না।

খাদ্য গুদামে এই অনিয়মের ঘটনায় চারটি গুদাম সীলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন। খাদ্য গুদামে অভিযান কালে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নবী নওয়াজেশ আমিনসহ ওসিএলএসডি বাচ্চু মিয়া।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নবী নওয়াজেশ আমিন বলেন, উপজেলা খাদ্য গুদামে কখন কি পরিমান চাউল বা ধান গুদাম জাত করা হচ্ছে সেটি মূলত যিনি গুদাম কর্মকর্তা তিনি দেখে এবং বুঝে নেন। কি পরিমাণ চাউল নষ্ট হলো এটি আসলে বলা সম্ভব হচ্ছে না।