আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে চোখের পানি ফেলেছেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আব্দুল হান্নান। তিনি জানান, তিন মাসের মধ্যে চিকিৎসা করাতে না পারলে তাকে স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি।
আব্দুল হান্নান বলেন, ‘১৯৯০ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। ২০১৩ সালে আমার নামে রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালে ঝিনাইদহে ব্যবসা করতে গিয়ে আবারও হয়রানির শিকার হই। পুলিশ আমাকে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে, যার ফলে আমি এখন পঙ্গু।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরও স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক হয়রানি ও হামলার আশঙ্কায় পরিবারসহ রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বরে শ্বশুরবাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছি।’
আব্দুল হান্নান অভিযোগ করেন, ‘সরকার বদলের পর (৫ আগস্টের পতনের পর) আমি শেরপুরে ফিরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু তারা আমার মতো ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকে মূল্যায়ন না করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। বরং যারা মাঠে ছিল না, তাদের নিয়ে সংগঠন সাজানো হচ্ছে।’
নিজের অসহায়তার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পঙ্গুত্বের কারণে সন্তানদের পড়াশোনা করাতে পারছি না। চিকিৎসার জন্য তিন মাস সময় বাকি আছে, এরপর আমি স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যাব। আমার পরিবারের পক্ষে বিদেশে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং তার ওপর চালানো নির্যাতনের বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে তিনি চিকিৎসার সহযোগিতার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আকুল আবেদন জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মতিন এবং কৃষক দলের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. কামাল।