রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত নলকূপের ৪০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে ১৯ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শিশুটির অবস্থানস্থল পর্যন্ত পৌঁছাতে গর্তের ভেতরেই সুরঙ্গ খোঁড়া শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে এখনো শিশুটির দেখা মেলেনি।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের ধানখড়ের মাঠে মায়ের পিছু পিছু হাঁটার সময় পা পিছলে পড়ে যায় সাজিদ। মাত্র ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তটি শিশুটিকে মুহূর্তেই টেনে নেয় নিচে।
ঘটনার পরই তানোর, রাজশাহী ও আশপাশের পাঁচটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে সরু গর্তে উদ্ধারযন্ত্র নামানো অসম্ভব হওয়ায় প্রাথমিক তৎপরতার পর তারা বিকল্প উপায়ে মাটি খননের সিদ্ধান্ত নেয়।
উদ্ধারকর্মীরা জানায়, শিশুটিকে উদ্ধারে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এক্সকেভেটর জরুরি হলেও পুরো তানোর উপজেলায় একটি এক্সকেভেটরও পাওয়া যায়নি। পরে রাত 8টার দিকে পাশের উপজেলা মোহনপুর থেকে দুটি ছোট এক্সকেভেটর এনে মাটি খননকাজ শুরু করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে ৪০ ফুট গভীর একটি নতুন গর্ত খোঁড়া শেষ হয়। এরপর সেই গর্ত থেকে শিশুটি যে স্থানে পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেদিকে সুরঙ্গ খোঁড়া শুরু করে উদ্ধার দল। সকাল থেকে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সুরঙ্গ খোঁড়া হলেও শিশুটির কোনো খোঁজ মেলেনি।
তানোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ম্যানেজার আব্দুর রউফ বলেন, ৪০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি করে আমরা শিশুটি পড়া জায়গার দিকে সুরঙ্গ খুঁড়ছি। এখনো তার দেখা পাইনি। তবে না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও শিশুটিকে উদ্ধার না করায় এলাকায় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে সাজিদের জন্য দোয়া করছেন।


