নেই কোনো ঘরবাড়ি, নেই কোনো চলাচলের সড়ক। তবুও ইউপি চেয়ারম্যানের পুকুরে এবং তার ব্যক্তিগত আড্ডাখানায় যাতায়াতের সুবিধার্থে একই স্থানে দুইবার সরকারি প্রকল্প নিয়ে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে আরসিসি ও এইচবিবি রাস্তা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, নাটোরের লালপুর উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিপি) থেকে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার ৮নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে রহমের বাড়ি থেকে তোফাজ্জল হোসেনের পুকুর পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
এরপর একই জায়গায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আবারও এডিপি প্রকল্পে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এইচবিবি রাস্তা নির্মাণের বরাদ্দ প্রদান করেন তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাস্তাটি শুধুমাত্র চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের পুকুর পর্যন্তই গেছে, যা সাধারণ মানুষের কোনো উপকারে আসছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ- ইউনিয়নের বহু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নাজুক অবস্থায় থাকলেও সরকারি বরাদ্দ ব্যবহার করা হয়েছে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য। জনস্বার্থের বিপরীতে গিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও ওই স্থানে সরকারি সাবমার্সিবল পাম্প এবং পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে, যা চেয়ারম্যানের পুকুরে পানি সরবরাহ এবং ব্যক্তিগত আড্ডাখানার প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহৃত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ৫ আগস্টের আগে তোফা চেয়ারম্যান ওই রাস্তার মাথায় পুকুরপাড়ে তার ব্যক্তিগত আড্ডাখানার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করেছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে না গিয়ে সেখানেই আড্ডা দিতেন এবং দলীয় কার্যক্রম চালাতেন। ৫ আগস্টের পর জায়গাটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রাস্তাটি জনগণের জন্য করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে কোনো কিছু করে থাকি, সেটা অবশ্যই অন্যায়।


