শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৫, ০৮:২৭ এএম

সাজিদকে উদ্ধারের ৩৩ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস বর্ণনা দিলেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৫, ০৮:২৭ এএম

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা। ছবি - সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা। ছবি - সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে ৩৩ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে প্রায় ৫০ ফুট গভীর গর্ত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী রাত ১০টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, ‘শিশু সাজিদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শিশুটির দেহ ধরার পর আমরাও কিছুক্ষণের জন্য আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। পরে হাসপাতালে পাঠানোর পর জানতে পারি তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।’ তিনি সাজিদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি বলেন, এটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও ভিন্নধর্মী উদ্ধার অভিযান। পাইপটির ব্যাস ছিল মাত্র ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি। স্থানীয় লোকজন আবেগের বশে আগেভাগে উদ্ধারচেষ্টা চালানোয় পাইপে প্রচুর মাটি ও খড়কুটো পড়ে যায়, এর কারণে শিশু সাজিদ আরও নিচে চাপা পড়ে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সার্চ ভিশন ক্যামেরা নামানোর পর শিশুটির অস্তিত্ব দেখতে পাইনি, শুধুই মাটি দেখেছি। তারপরও তাকে জীবিত পাওয়ার আশা নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে কাজ চালাই।’

উদ্ধারে তিনটি এক্সকেভেটর ব্যবহার করা হলেও মূল পাইপের অংশ কম্পনমুক্ত রাখতে যান্ত্রিক ও ম্যানুয়াল- দুই পদ্ধতির সমন্বয়ে ‘ইমপ্রোভাইজড’ কৌশলে কাজ করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।

এ ধরনের অরক্ষিত গর্ত রেখে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রজেক্টের কাজ শেষে ছোট ছোট গর্ত বা ‘লুপহোল’ এভাবে অরক্ষিত ফেলে রাখার কারণে আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে, আজও ঘটল। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তানোরের পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে মায়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা টানা ৩২ ঘণ্টা ধরে প্রায় ৪০ ফুট মাটি খনন করে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। অবশেষে রাত ৯টার দিকে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Link copied!