আবারও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। লিখিত পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখকে কেন্দ্র করে জেলায় হরতাল দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় জেলা পরিষদ। অন্যদিকে পরীক্ষা স্থগিত করায় জেলায় ৩৬ ঘণ্টার হরতাল প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনকারীরা।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার দিন নির্ধারণ ছিল ২১ নভেম্বর। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) শিক্ষকসহ রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে এবং ওই শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে জেলায় ৩৬ ঘণ্টার হরতাল ডাকেন রাঙামাটি সচেতন নাগরিক ঐক্য, কোটাবিরোধী ঐক্যজোট এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিক ব্যানারের আন্দোলনকারীরা।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হরতালের পক্ষে কঠোর অবস্থান নেন হরতালকারীরা। ফলে এদিন সকাল থেকে শহর এলাকাসহ দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে এ সময় কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালের কর্মসূচি দেওয়া হয় ২০-২১ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার দুপুরে ২১ নভেম্বরের নির্ধারিত শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এরপর আপাতত হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা।
এ বিষয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা কয়েক দফায় স্থগিত করার পর সবশেষ ২১ নভেম্বর নির্ধারণ ছিল। এ জন্য সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত তারিখকে কেন্দ্র করে ডাকা হরতাল এবং সম্ভাব্য পরিবহন ও নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরিষদ পরীক্ষাটি আবারও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সবার যে অসুবিধা হয়েছে তার জন্য পরিষদ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
পরে শহরের বনরুপা আলিফ মার্কেটের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের দেওয়া বক্তব্যে আপাতত হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদের পক্ষে মো. নুরুল আলম বলেন, পরীক্ষা স্থগিত করায় আপাত আমরা হরতাল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে অনঢ় অবস্থানে আছি। আমাদের দাবির ব্যাপারে আমরা শনিবারের মধ্যে জেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করব। কিন্তু এর মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আবার বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন