বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম

রংপুরে বিভাগীয় ইজতেমা শুরু

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম

শনিবার ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হবে।    ছবি- সংগৃহীত

শনিবার ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হবে। ছবি- সংগৃহীত

তিন দিনব্যাপী রংপুরে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের বিভাগীয় ইজতেমা। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হ‌য় ইজতেমার কার্যক্রম।‌ পবিত্র কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে মহান আল্লাহ্ ও নবী-রাসুলের হুকুম-আহকাম মেনে চলার মধ্যেই ইহকাল ও পরকালে সুখ-শান্তি রয়েছে বলে বয়ানে উল্লেখ করা হয়।

রংপুর মহানগরীর ৪নং ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল এলাকায় ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের ইজতেমা। শেষ হবে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর)। ইজতেমা ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন আয়োজকরা।

২০১০ সাল থেকে রংপুরে ইজতেমা হয়ে আসছে। এবার রংপুরে নবমবারের মতো ইজতেমা হচ্ছে। ইজতেমা সফল করতে আমাশু কুকরুল এলাকার মাঠজুড়ে শামিয়ানা টাঙানো, পানির লাইন ও বিদ্যুৎ সংযোগ, সাইকেল গ্যারেজসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। বিশাল আয়তনের এ মাঠে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা শামিয়ানার নিচে অবস্থান নিতে পারবেন। রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে আসা মুসল্লিদের ঢল নেমেছে এই মাঠে। শুক্রবার এখানে লাখের অধিক মুসল্লি একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন আয়োজকরা।

আয়োজক কমিটির তথ্যমতে, এবারের ইজতেমায় রংপুর বিভাগের আট জেলা পঞ্চগড, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও রংপুর থেকে তাবলিগ জামাতের সাথীরা অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত তাবলিগের জামাতের বিদেশি মেহমানরা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন।

আয়োজক কমিটির সদস্য খালেকুজ্জামান রাজা বলেন, প্রায় ২০০ বিদেশি মেহমান এই ইজতেমায় অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এবার জেলা ইজতেমার পরিবর্তে বিভাগীয় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে বিভাগের আট জেলা থেকে মুসল্লিরা অংশ নেবেন। মাঠের ধারণক্ষমতা পাঁচ লাখ হলেও এবার ১০ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রংপুর জেলাসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ ইজতেমা ময়দানে সমবেত হতে শুরু করেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে আম বয়ানের পর মাশোয়ারার ভিত্তিতে আগত আলেমগণ বয়ানের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করবেন।

ইজতেমা মাঠে দায়িত্বে থাকা হাফিজুল ইসলাম ব‌লেন, বুধবার বিকেল থেকে মুসল্লিরা মাঠে আসা শুরু করেন এবং রাতের মধ্যেই সবাই চলে আসেন। রাতে সবাই ইজতেমা মাঠেই অবস্থান করে‌ছেন। বৃহস্পতিবার ভো‌রে ফজরের নামাজ আদায়ের পর আমবয়ান শুরু হয়।

এবার রংপুর আট জেলার কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নিচ্ছেন ইজতেমায় এবং বিদেশি মেহমানরাও এসেছেন। তাবলিগ জামাতসহ সাধারণ মানুষের সহযোগিতার পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক বিশাল এই মাঠ প্রস্তুত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তদারকি করছেন।

ইজ‌তেমা মা‌ঠে আসা মুসুল্লি সাউদ হোসেন ব‌লেন, আমি গত রা‌তেই ইজ‌তেমার মা‌ঠে এসে উপ‌স্থিত হ‌য়ে‌ছি। য‌দিও আমার বাসা খুব বেশি দূরে নয়। আমি ইজ‌তেমার আদব ও নিয়ম অনুসা‌রে ইবাদ‌ত করে মহান আল্লাহর রহমত পেতে চাই। দ্বীনি শিক্ষায় নিজেকে আরও বেশি আমলওয়ালা বানাতে চাই। আল্লাহ যেন আমাকেসহ ইজতেমা মাঠে আসা সবাইকে কবুল করে নেন।

তাবলিগ জামাতের স্থানীয় সংগঠক শামীমুজ্জামান শামীম বলেন, ইজতেমা মাঠকে আলোকিত রাখতে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি শতাধিক জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মুসল্লিদের ওজু ও গোসলের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও ট্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ওজু করতে পারবেন। আগত মুসুল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অর্ধশতাধিক মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক মাঠে নিয়োজিত থাকবে।

ইজতেমার নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাদা পোশাকে পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে আয়োজক কমিটি, জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। নির্বিঘ্নে ইজতেমার কাজ সম্পন্ন ও ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনায় আয়োজক কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করবে।

তিনি আরও বলেন, ইজতেমার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ইজতেমা আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া পুলিশের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হবে। মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য এখান থেকে চিল্লার উদ্দে‌শ্যে হাজার হাজার মুসল্লি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!