সাতক্ষীরার লক্ষ্মীদাঁড়ি সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে শেখ আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। সোমবার (৪ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিজিবির পোস্টসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আলমগীরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীদাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সাঈদ হোসেনের ছেলে।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর কুমড়োর খালের পাশে তার একটি মাছের ঘের রয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে ঘেরটি তলিয়ে গেছে। আজ ভোরে তিনি জাল দিয়ে ঘেরটি ঘিরতে গেলে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তার দিকে গুলি ছোড়ে। ছররা গুলি তার মুখ, মাথা ও চোখের ভুরুতে লাগে।’
তবে আলমগীরের এ বক্তব্য নাকচ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মো. জহিরউদ্দিন জানান, ‘তাদের নিজস্ব সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর গত ৩০ জুলাই অবৈধভাবে ভারতের বসিরহাট মহকুমায় আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। আজ ভোরে ফেরার সময় ভারতীয় ভূখণ্ডের ঘোজাডাঙা এলাকায় বিএসএফের গুলিতে তিনি আহত হন।’
আলমগীরের ভাগ্নে বেলাল হোসেন জানান, ‘মামা ফোনে তাকে জানান যে, তার গায়ে গুলি লেগেছে। পরে ভোমরা বাজারের জাহাঙ্গীর মার্কেট এলাকায় দেখা হলে তিনি মুখে ছররা গুলির চিহ্ন দেখতে পান।’
স্থানীয় একজন মোটরসাইকেল চালক আবু হোসেন জানান, ‘সকালে তিনি আলমগীরকে সেখান থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।’
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এ বি এম আখতার মারুফ বলেন, আলমগীরকে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তার মুখমণ্ডল ও মাথায় ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।’