সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম

‘শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় বাড়াতে ছুটির ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হবে’

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেছেন, দেশে বছরে মাত্র ১৭৯ দিন স্কুল খোলা পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় বাড়াতে ছুটির ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা শহরের লেকভিউ রিসোর্টে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কারিগরি সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালায় জেলার ৪০ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অংশ নেন।

ডিজি বলেন, ‘আমাদের বছরে ছুটি ছিল প্রায় ৭৯ দিন। তা কমিয়ে এবার ৬০ দিনের মতো করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সময় স্কুলে থাকতে পারবে এবং পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে।’

এ সময় তিনি স্কুলের আশপাশে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘প্রায় সব স্কুলের বাউন্ডারি ওয়ালের বাইরে সারি সারি দোকান। এসব দোকানে ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি, আইসক্রিমসহ নানা মুখরোচক খাবার বিক্রি হয়। কিন্তু এগুলোতে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। ফুচকা বিক্রেতারা এক বালতি পানি দিয়েই সারা দিনের সব কাজ সারছে। একই পানি দিয়ে প্লেট ধোয়া, হাত ধোয়া, এমনকি ঘাম মোছার কাজও হচ্ছে। এরপর একটি গামছা দিয়েই সব মুছে ফেলা হচ্ছে। অথচ আমরা সেসব খাবার খাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, “অন্যদিকে সামর্থ্যবানরা তথাকথিত ‘জামফুট’ খাচ্ছেন, যেখানে কেমিক্যালসহ নানা অস্বাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহার করা হয়। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা কোথাও দাঁড়িয়ে নেই। শিক্ষকদের মনে রাখতে হবে—‘ফুড সিকিউরিটি’ ও ‘ফুড সেফটি’। শুধু খাবারের প্রাপ্যতা নয়, খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি।”

প্রশিক্ষণে শিশুদের জন্য নিরাপদ খাদ্যের প্রাথমিক ধারণা, মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি, করণীয়-বর্জনীয় ও হাত ধোয়ার পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত ছিল। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে সচেতন করবেন।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, সচিব ও এসটিআইআরসি প্রকল্পের পরিচালক শ্রাবস্তী রায়, প্রকল্পের টিম লিডার আতসুশি কইয়ামা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন এবং জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার দীপংকর দত্ত।

খাদ্য নিরাপদ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া বলেন, ‘আমরা সবাই সুস্বাস্থ্য চাই। সুস্বাস্থ্যের দুটি মূলনীতি হলো—যে খাদ্য গ্রহণ করবেন তা যেন নিরাপদ হয় এবং সুস্বাস্থ্যের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এ দুটি বিষয় মানা না হলে চিকিৎসক যতই চেষ্টা করুন না কেন, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগুন থেকে রক্ষা করে ফায়ার সার্ভিস নয়, বরং নিজেদের সচেতনতা। একইভাবে চিকিৎসাব্যবস্থা আপনাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে, কিন্তু নিজের স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব প্রথমে আমাদেরই নিতে হবে।’

Link copied!