সাতক্ষীরার তালায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর এক তরুণীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার সময় তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বাবা মোঃ আনিছুর রহমান জানান, প্রায় ৫ মাস আগে কলারোয়া উপজেলার বাকসা গ্রামের জাফ্ফার বিশ্বাসের ছেলে মাতিন বিশ্বাস (রনি) এর সঙ্গে তাঁর মেয়ে সুমি খাতুন (১৮) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আংটি, মোবাইল ফোন ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়। পাশাপাশি একটি মোটরসাইকেল দেওয়ার কথাও ছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, যৌতুকের সেই মোটরসাইকেলের দাবিতে তাঁর মেয়েকে শ্বশুর জাফ্ফার বিশ্বাস ও শাশুড়ি মুসলিমা বেগম নিয়মিত শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। প্রায় এক মাস আগে মারধর করে মেয়েকে বাবার বাড়িতে পাঠানো হয় এবং বলা হয়, মোটরসাইকেল না দিলে এ বাড়িতে থাকতে পারবে না। পরে অনেক অনুরোধ ও সমঝোতার পর মেয়েকে আবার শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়।
গত ১ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে নিহতের স্বামী জাফ্ফার বিশ্বাস ফোন করে জানায় তাঁর স্ত্রী ‘গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে’। খবর পেয়ে রাতেই বাড়িতে গিয়ে তারা দেখতে পান তরুণীকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
অভিযোগ করে আনিছুর রহমান বলেন, তাঁর মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করা হতো। খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করা হতো।
বিষয়টি তার স্বামীকে জানাতে চাওয়ায় শ্বশুর-শাশুড়ি ঘটনা টের পেয়ে তাকে নির্মমভাবে মারধর করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি দোষীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এবং ন্যায়বিচার পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন