ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে ফেলে পালান স্বামী, ৫ বছর পর যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালত। ছবি- সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর হাসপাতালে ফেলে পালানোর ঘটনায় স্বামী ইসমাইল হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই দণ্ডাদেশ দেন এবং হত্যা মামলায় আরেক আসামি মোছা. সাহিদা বেগমকে খালাস প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল হোসেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আবু তালহার ছেলে।

সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার পাইকোশা পূর্বপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন ও একই গ্রামের আব্দুল হালিম সরকারের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন সুরুভি প্রেম করে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তুর বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ইসমাইল স্ত্রী সুরুভির ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। 

এরই একপর্যায়ে ২০২০ সালের ১৯ জুন (শুক্রবার) দুপুরে সুমাইয়া খাতুনকে (সুরুভি) শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান ইসমাইল ও তার পরিবারের সদস্যরা।

এ ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই আবু হানিফ সরকার বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় ইসমাইল হোসেন, তার পিতা আবু তালহা ও মা সাহিদা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারক এই রায় প্রদান করেন।