সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে প্রাইভেটকার থামিয়ে লুটপাটের দেশজুড়ে আলোচিত ঘটনায় সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, লুট হওয়া তিনটি মোবাইলফোন ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক রতন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খামার পাইকোশা গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৩), একই গ্রামের মো. শাহজাহান আলীর ছেলে মো. আইয়ুব আলী (২৩), শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বর ও খামার পাইকোশা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. আজাদুল মেম্বর (৩৭), সয়দাবাদ ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের রহম আলী শেখের ছেলে মো. বাবু (৩৪), পূর্ব মোহনপুর গ্রামের মো. সহিদুল শেখের ছেলে মো. সাহা আলী (২৯), কামারখন্দ থানার পাঁচবাড়ীয়া গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম (২৩) ও একই গ্রামের মো. আবু সাঈদের ছেলে মো. রাশেদুল ইসলাম (২৩)।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার পূর্বচর পাকেরদহ গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলাম তার ছেলে, মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে নিয়ে রংপুর থেকে প্রাইভেটকারে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ঝাঐল ওভারব্রিজ এলাকায় এলে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতদল তাদের গাড়ি থামিয়ে লুটপাট চালায়।
ঘটনার সময় অপর একটি গাড়িতে থাকা ব্যবসায়ী ফজলে রাব্বী মোবাইলফোনে ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে আপলোড করেন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর যমুনা সেতু পশ্চিম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রমজান আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ডিবির এসআই নাজমুল হক রতন জানান, দেশজুড়ে আলোচিত এ ঘটনার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ফারুক হোসেনের তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়। টিমে সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল), ডিবি ওসি, যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পাঁচজন এসআই এবং চারজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অংশ নেন।
৬ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে মো. শাহ আলী ও বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ৮ অক্টোবর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাকি পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানান, তারা একটি সক্রিয় ডাকাত দলের সদস্য এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মহাসড়কে ডাকাতিই তাদের পেশা। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী, আশরাফুল ও আইয়ুব আলী ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন