বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি রচনায় সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি না থাকলে দেশের অর্থনীতি অনেক আগেই মুখ থুবড়ে পড়ত।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, ‘ভ্যাট সংযোজনের মাধ্যমে সাইফুর রহমান দেশের রাজস্ব ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন। অথচ সেই সময় আওয়ামী লীগ ভ্যাট ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছিল। আজকের বাস্তবতা হলো, ভ্যাট ছাড়া বিশ্বের কোনো দেশই অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকতে পারে না।’
ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন সাইফুর রহমানের সহকর্মী। পরবর্তীতে আমিও তার সহকর্মী হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য এক বড় সৌভাগ্য। তার সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। সাইফুর রহমান শুধু একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপক।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান আমলেই পূর্ব পাকিস্তানে ম্যানেজমেন্ট উন্নয়নে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে পুরো পূর্ব পাকিস্তান থেকে কেবল সাইফুর রহমানকেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বোঝা যায়, তার দক্ষতা কতটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ছিল।’
সভায় সাইফুর রহমানের ট্যাক্স ও রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারমূলক উদ্যোগের প্রসঙ্গ টেনে মঈন খান বলেন, ‘তিনি জানতেন, কীভাবে একটি রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে স্বনির্ভর করতে হয়। তার মতো দূরদর্শী অর্থমন্ত্রী আমাদের আর আসেনি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকীসহ সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে বাদ জুমা আরিফুল হক চৌধুরীর উদ্যোগে নগরীর বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মরহুম সাইফুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন