নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে এবং আওয়ামী লীগ একটি ‘স্থগিত দল’ হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে সিলেট পুলিশ লাইনে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য আয়োজিত পুলিশের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। যেহেতু দলটি বর্তমানে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে, তাই তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।”
এ সময় তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কমিশনের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, “অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কেউ নির্বাচনী দায়িত্বে থাকতে পারবে না।”
নির্বাচনের সময়সূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। নির্বাচন রমজানের আগেই অনুষ্ঠিত হবে।”
প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আনোয়ারুল বলেন, “সাংবিধানিক আইন ও নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীক না থাকায় এনসিপিকে তা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়।”
তিনি আরও জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমিশন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসি আনোয়ারুল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”