যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গাজা উপত্যকার কর্তৃপক্ষের কাছে আরও ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এ নিয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মোট ১৫০ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত পেয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার গাজায় আরও ১৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ফলে মোট ফেরত দেওয়া মরদেহের সংখ্যা বেড়ে ১৫০ জনে পৌঁছেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রত্যেক মৃত ইসরায়েলির মরদেহের বিনিময়ে ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে ইসরায়েলের।
এর আগে, শুক্রবার রাতে হামাস আরও এক ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ ফেরত দেয়। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে হামাস এখন পর্যন্ত ৯ জন ইসরায়েলি ও এক নেপালি শিক্ষার্থীর মরদেহ হস্তান্তর করেছে। পরে শনিবার ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
একই দিন রাতে গাজা উপত্যকায় জিম্মি থাকা দুই ইসরায়েলিকে ফেরত দিয়েছে হামাস। তারা হলেন, ইসরায়েলি নাগরিক রোনেন এনজেল ও থাই কৃষি শ্রমিক সনথায়া ওআখারাসরি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, শনিবার ফেরত আসা কিছু মরদেহে নির্যাতন, মারধর, হাতকড়া পরানো এবং চোখ বেঁধে রাখার আলামত পাওয়া গেছে।
এর আগেও যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ফেরত আসা কিছু মরদেহ নিয়ে একই ধরনের অভিযোগ করে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এসব অভিযোগকে হামাসের মিথ্যা প্রচারণা বলে উড়িয়ে দিয়েছে।